ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ চাহিদাসম্পন্ন চিত্রনায়ক শাকিব খান ও ঢালিউড কুইন খ্যাত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের মাঝে সম্পর্ক এখন যোজন যোজন দূর। বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলাদা ছাদের নিচে বসবাস করছেন তারা দীর্ঘদিন ধরেই। একসময়ের এই সফল তারকাজুটির একমাত্র পুত্রসন্তান আব্রাম খান জয় মা অপু বিশ্বাসের কাছে বেড়ে উঠছে। মাঝে-মধ্যে বিশেষ দিনে ছেলে জয়ের কারণে দেখাও হয়ে যায় সাবেক এই তারকা দম্পতির।

কিন্তু শাকিব খান অপু বিষয়ে কিছু না বললেও কয়েকদিন পর পরই অপু বিশ্বাসের মুখে শাকিবের প্রশংসা করতে দেখা যায়। শাকিবকে ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান বলে গর্ব করতেও দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। নতুন বছরের শুরুতেও অপু বিশ্বাস আনন্দঘন পরিবেশে তার পার্লার প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের দিনও সাংবাদিকদের জানান, শাকিবের দোয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করলাম। অপুর মুখে এসব কথা শুনে অনেকেই প্রশ্ন করেন, তাহলে কী আবার এক হচ্ছেন এই তারকা জুটি?

যদিও এই গুঞ্জন এক বছরেরও বেশি সময় থেকে। তবে এবার বাস্তব জীবনে নতুন করে ঘর সাজাতে নয়, শাকিব-অপু এক হচ্ছেন ব্যবসায়িক স্বার্থে। বিচ্ছেদের ছয় বছর পেরিয়ে আবারও মিলিত হয়েছেন একই বৃত্তে। কারণ শাকিব-অপুর ব্যবসায়ী পরিচয়জুড়ে রয়েছে একই প্রতিষ্ঠান।

গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীর আফতাবনগরের আবাসিক এলাকায় ‘হারল্যান’-এর নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন অপু। এবং সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, আমার ওপর শাকিবের আস্থা-ভরসা অনেক বেশি। ও জানে, আমি কিছু করতে চাইলে সেটা নিশ্চয়ই পারব। এই খবরে ব্যবসায়ী অপুকে শুভকামনা জানান শাকিব। পরে জানা যায়, অপুর ‘হারলান’ কোম্পানির পরিচালক শাকিব।

২০ জানুয়ারি বিষয়টি ভক্তদের কাছে পরিষ্কার হয়। এদিন রিমার্ক ও হারল্যানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে থাকছেন এ নায়ক।

এমন খবর পেয়ে শাকিব-অপু ভক্তরা যখন খুশিতে ভাসছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ভক্তদের খুশির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়ে শাকিব ঘোষণা দেন, এই প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত তার সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

শাকিব বলেন, শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গত ১ বছর ধরে রিমার্ক ও হারল্যানের বিভিন্ন স্টোর উদ্বোধন করছেন অপু। চলতি বছর রাজধানীর আফতাবনগরের আবাসিক এলাকায় নিজের বুটিক হাউস ও রেস্টুরেন্টের সঙ্গে একটি হারল্যান স্টোরের মালিকানা নেন।

এর আগে অপুর সিনেমা প্রযোজনায়ও পাশে থাকতে দেখা গেছে শাকিবকে। তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, বিবাহিত জীবনে তারা একসঙ্গে না হাঁটলেও বাকি পথে একসঙ্গেই হাঁটছেন।